বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

বদলে যাচ্ছে আবহাওয়ার চিরচেনা চরিত্র। গরমের তীব্রতায় পুড়ছে দেশ। জলবায়ু পরিবর্তন এবং বৃক্ষ নিধনসহ আমাদেরই হাতের কামাইয়ের পরিণতি প্রত্যক্ষ করছি আমরা। এ থেকে রক্ষা পেতে দরকার প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগানো। এই প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন প্রতিবছর সারাদেশে ফলজ বৃক্ষ রোপনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। সাধারণ মানুষ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে দেশের প্রত্যন্ত এলাকার মাসজিদ, মাদরাসা এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠী—যাদের গাছ লাগানোর মতো জমি রয়েছে—ফলজ গাছের চারা ক্রয় করে লাগানোর ব্যবস্থা করা হয়। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে সাদাকায়ে জারিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ এবং দরিদ্রদের বছরব্যাপী আয়ের সুযোগ প্রদান করা হয়।
গাছ লাগানোর গুরুত্ব ও ফযীলত ও অপরিসীম। এটি একটি সাদাকায়ে জারিয়ামূলক নেক কাজ। যদি কেউ মানুষ কিংবা প্রাণীকূলের উপকার সাধনের লক্ষ্যে ফলজ বা বনজ গাছ রোপণ করে এবং এর মাধ্যমে সাওয়াব আশা করে, তবে এটি একটি উত্তম সাদাকায়ে জারিয়াহ; যার সওয়াবের ধারা ব্যক্তির মৃত্যুর পরও অব্যাহত থাকতে পারে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ‘যদি কোনো মুসলমান একটি বৃক্ষ রোপণ করে অথবা কোনো শস্য উৎপাদন করে এবং তা থেকে কোনো মানুষ কিংবা পাখি অথবা পশু ভক্ষণ করে, তাহলে তা সে ব্যক্তির জন্য সাদাকাস্বরূপ।’ (সহীহ বুখারী: হাদীস-২৩২০, সহীহ মুসলিম: হাদীস-১৫৫৩)
আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন সাধারণত উন্নত জাতের ফলজ গাছ লাগানোর চেষ্টা করে। যাতে পরিবেশ সুরক্ষার পাশাপাশি গরিব মানুষের অর্থের সংস্থানও হতে পারে। প্রথম বছর যেসব গাছ লাগানো হয়েছে, তা হলো—
  • আমগাছ (আম্রপালি)
  • লিচু (চায়না-৩)
  • সীডলেস লেবু
  • কিছু নারিকেলের চারা (পরীক্ষামূলক)
  • কিছু খেজুর গাছের চারা (পরীক্ষামূলক)
এ যাবৎ মোট ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৯২টি গাছ লাগানো হয়েছে। বর্তমানে আরো ১ লাখ বৃক্ষরোপণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রতি বছর এই ধারা অব্যাহত থাকবে; বরং আরো বেগবান হবে ইন-শা-আল্লাহ।